বন্যার জলে ডুবে মৃত্যু বারিকনগরের মদন প্রসাদ গোয়ালার
বন্যার জলে ডুবে মৃত্যু ঘটে বারিকনগরের ৫৪ বছরের মদন প্রসাদ গোয়ালার। ঘটনাটি ঘটে বুধবার বিকেলে। প্রত্যেক দিনের মত বুধবার বিকেলেও মদন প্রসাদ গোয়ালা শিলকুড়ি বাজার থেকে বাজার করে বাড়ি ফিরছিলেন। শালগঙ্গা নদীর উপর নির্মিত বাঁশের পুল অতিক্রম করতে গিয়ে পা পিছলে নদীতে পড়ে যান তিনি। প্রথম পর্যায়ে বাঁচার চেষ্টা চালিয়ে আর জল থেকে বের হতে পারেননি গোয়ালা। দুর থেকে স্থানীয় কিছু মানুষ এ দৃশ্য দেখে দৌড় দিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে কোন হদিশ পান না মদন প্রসাদ গোয়ালার। বন্যার কারনে নদীর জলের স্রোতে তলিয়ে জান তিনি। সঙ্গে সঙ্গে হাল্লা-চিৎকার শুনে ছোটে আসেন পরিবারের লোক সহ স্থানীয়রা । অনেকেই জলে ঝাঁপ দিয়ে তল্লাশি অভিযান চালিয়েও ব্যর্থ থাকেন মদন প্রসাদ গোয়ালাকে উদ্ধার করতে । ঘুংঘূর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং সঙ্গে সঙ্গে এসডিআরএফ এর দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে রাত্রি সাড়ে ১১টায় মদন প্রসাদ গোয়ালার মরদেহ উদ্ধার করে। পুলিশ মদন প্রসাদ গোয়ালার মরদেহকে ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে আসে শিলচর মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে।
এদিকে এ খবর শুনে পরিবারের সদস্যরা কান্নার জোয়ারে ভেসে যান । পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম মদন প্রসাদ গোয়ালার রয়েছে পত্নী সহ এক ছেলে ও এক মেয়ে। এখবর চাউর হলে ছোটে আসেন এলাকার জনসাধারণ, আত্মীয় স্বজন ও বিভিন্ন প্রতিনিধিরা। ঘটনাকে নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন অখিল ভারতীয় যাদব মহাসভার পদাধিকারী সুবচন গোয়ালা ও ভোলানাথ যাদব । তারা বলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি এধরনের আকস্মিক মৃত্যুতে পরিবারের স্থিতি শোচনীয় হয়ে পড়েছে। তারা কাছাড় জেলা প্রশাসক ও নেতা মন্ত্রীদের উদ্দেশ্য করে বলেন যে সরকারের তরফ থেকে এই পীড়িত পরিবারের যা প্রাপ্য রয়েছে তা অবিলম্বে প্রদান করা হউক।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বারিকনগর স্থিত শ্মশানে শতাধিক মানুষের উপস্থিতিতে মৃত্য মদন প্রসাদ গোয়ালার শেষ কৃত সম্পন্ন হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।