নগদীরগ্রামের দূর্ঘটনায় হত দুই ছাত্রের পরিবারের খোঁজ খবর নিলেন সোনাইর প্রাক্তন বিধায়ক।
লায়লাপুর পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ হত ছাত্র পরিবারের
শনিবার বিকালে দলীয় কর্মীদের নিয়ে ধলাইর সপ্তগ্রামে লায়লাপুর পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় নিহত দুই ছাত্র আসাদ গনি বড় লস্কর ও মুস্তাফা আহমেদ লস্করের পরিবারের খোঁজ খবর নেন সোনাইর প্রাক্তন বিধায়ক তথা আসাম বিধানসভার প্রাক্তন উপাধ্যক্ষ আমিনুল হক লস্কর। এদিন সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আমিনুল বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। উভয় পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে, তিনি আরো বলেন হত ছাত্রদের মাতা পিতাকে শান্তি দিতে পারেন একমাত্র স্রষ্টা। তাই স্রষ্টার কাছে উভয় পরিবারকে শান্তি প্রদানের জন্য প্রার্থনা করতে সবার কাছে অনুরোধ জানান। এরকম মর্মান্তিক দুর্ঘটনা আগামীতে যাতে পুনরায় না ঘটে এর জন্য যুব সমাজের কাছে সতর্কতা অবলম্বন করার আর্জি জানান। এবং সরকারের কাছে তীব্র গতিতে যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করার দাবি ও জানান। এদিকে হত ছাত্রের পরিবারের সদস্যরা লায়লাপুর পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক নৌছাং সিয়ামের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেন, ঘটনার পর ম্যাডাম দূর্ঘটনাগ্রস্থদের রাস্তায় ফেলে রেখে স্থানীয়দের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন এবং ঘটনাস্থল থেকে পালানোর চেষ্টা করেন।
তা না করে যদি তিনি আমাদের আসাদ ও মস্তুফাকে মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার ব্যাবস্থা করতেন তাহা হলে উভয়ের মধ্যে হয়তো একজনের প্রাণ রক্ষা হতো। জামাল উদ্দিনের একমাত্র ছেলে মস্তুফার মৃত্যুর পর ভেঙে পড়েছেন পিতা মাতা। মস্তুফার বড় দুই বোন এর আগেই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। মস্তুফা ছিল সবার ছোট।
এদিন আমিনল হকের সঙ্গে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নগদীরগ্রাম জিপির আঞ্চলিক পঞ্চায়েত সদস্য মঞ্জুরুল হক মজুমদার, জাবির হুসেন লস্কর, মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী, হুসেন মজিমদার, জাকির লস্কর প্রমুখ