সোনাবাড়িঘাট থেকে চুরি যাওয়া ৪ টি বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার হাইলাকান্দি থেকে উদ্ধার। থানায় মামলা। গ্রেপ্তার এক।
জানা গিয়েছে গত ১১ অক্টোবর রাতে সোনাবাড়িঘাট কান্দিগ্রামের তামান্না এন্টারপ্রাইজের ৪টি বিদ্যতের ট্রান্সফরমার চুরি হয়।
এবং ১২ তারিখ সকালে তামান্না এন্টারপ্রাইজের মালিক ডালিম উদ্দিন লস্কর অনেক খোজাখুজি করে পাননি কোনো সন্ধান। অবশেষে শিলচর রাঙিরখাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে এজাহার দায়ের করেন।
এজাহারের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। এক গোপন তথ্যের ভিত্তিতে হাইলাকান্দি সদর থানার পুলিশের সহযোগিতায় রাঙিরখাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির এ,এস,আই শ্যমানন্দ সিনহার নেতৃত্বে পুলিশের এক দল হাইলাকান্দির হাবিব পয়েন্ট এলাকায় হানা দিয়ে একটি ট্রান্সফরমার সহ হুসেন আহমেদ বড়ভুইয়া নামের একজনকে আটক করতে সক্ষম হয়।
২৪ অক্টোবর রাতে একটি ট্রান্সফরমার রাঙিরখাড়ি পুলিশকে সমঝে দিয়ে হুসেনকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হলেও বাকি ট্রান্সফরমার গুলোর হাদিস পাওয়া যায়নি বলে জানা গিয়েছে।
২৫ অক্টোবর অভিযুক্ত হুসেনকে রাঙিরখাড়ি থানার হাতে সমঝে দেয় হাইলাকান্দি পুলিশ। এখানে টানা জিজ্ঞাসাবাদে আটক হওয়া বাহাদুরপুর ১ম খণ্ডের বাসিন্দা ইসলাম উদ্দিন বড়ভুইয়ার পুত্র হুসেন আহমেদের বয়ান অনুযায়ী সুত্র ধরে ২৬ অক্টোবর রাতে লালা বাইপাস থেকে আরো ৩টি ট্রান্সফরমার উদ্ধার করে হাইলাকান্দি পুলিশ। রাতে সেই ট্রান্সফরমার গুলি রাঙিরখাড়ি পুলিশকে সমঝে দেয় হাইলাকান্দি পুলিশ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাঙিরখাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিষয়টি তুলে ধরেন ডালিম উদ্দিন লস্কর এবং সোনাবাড়িঘাট জিপি সভানেত্রীর স্বামী সামসুল হক বড়ভুইয়া অর্ফে ভুট্টু।
তারা রাঙিরখাড়ি থানার পুলিশ ও হাইলাকান্দি সদর পুলিশের সহযোগিতার ভুয়সী প্রশংসা করেন। এছাড়া তারা স্থানীয় চোর সহ এই চুরিকাণ্ডের সাথে জড়িত অন্যান্যদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে প্রশাসনের কাছে কঠোর শাস্তির দাবি জানান।