রেফারির লাল কার্ড। দ্বিতীয়ার্ধের অর্ধে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে গেলো আরজানপুর এসপিএন ক্লাব।

রেফারির লাল কার্ড। দ্বিতীয়ার্ধের অর্ধে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে গেলো আরজানপুর এসপিএন ক্লাব।

পালংঘাটে ২-০ গোলে জয়ী ভাগার আর,ডি,এক্স আক্তার জেহেন এফসি।

পালংঘাট মাতা সংঘ ক্লাব আয়োজিত ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ২য় রাউন্ডের ৩য় ম্যাচে বিশৃঙ্খলা। এদিন ম্যাচে মুখোমুখি হয় ধলাইর আর্জানপুর এসপিএন ক্লাব বনাম ভাগাবাজার আর,ডি,এক্স আক্তার জেহেন এফসি।

ম্যাচের প্রথমার্ধের ২৪ মিনিটে আর,ডি,এক্সের ১৪ নম্বর জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় আর. লালমিংমাওইয়া ১ম গোল করেন এবং ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে ৪৫ মিনিটে পুনরায় লালমিংমাওইয়া আরেকটি গোল করলে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় তারা। এদিকে ম্যাচের শুরু থেকে আর্জানপুর দল শক্তি প্রদর্শন করতে দেখা যায় মাঠে। রেফারির বাঁশি বাজলেই তর্কাতর্কি করতে দেখা যায়। কয়েকবার রেফারিকে খেলোয়াড়দের হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে। এদিনের মাঝমাঠে খেলা পরিচালনা করেন রেফারি সালেহ আক্রম।

ম্যাচের প্রথমার্ধে আর্জানপুর এসপিএন ক্লাবের ৬ নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় মহিম উদ্দিনকে প্রথমবার হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। এবং দ্বিতীয়ার্ধে একই খেলোয়াড় ফাউল করলে হলুদ ও লাল কার্ড দেখাতে বাধ্য হন। এতেই শুরু হয় উত্তেজনা। খেলোয়াড়দের তোপের মুখে পড়েন রেফারি সালেহ আক্রম। এরমধ্যে আর্জানপুর দলের কেপ্টেন সেই খেলোয়াড়কে লাথি মারতে দেখা যায়। এরপর কেপ্টেন মাঠ ছাড়ার নির্ণয় নেন যদিও রেফারি ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে সংবাদমাধ্যমের সামনে অভিযোগ উত্থাপন করেন। এদিকে রেফারি সালেহ আক্রম সংবাদ মাধ্যমকে জানান, তার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। তারা নিজের হার সহ্য করতে না পেরে বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপন করেছে যাহা স্বাভাবিক। এনিয়ে দর্শকদের মতামত নিতে চাইলে একাংশ দর্শক কিন্তু এই দলের আচার ব্যাবহার সঠিক ছিল না বলে উল্লেখ করে এই দলকে কোনো টুর্নামেন্টে স্থান না দেওয়ার জন্য এলাকার আয়োজক সংস্থা গুলির কাছে আবেদন জানান।

এনিয়ে আয়োজক সংস্থার সভাপতি জিষ্ণু ভট্টাচার্য জানান, কোনো ম্যাচে এরকম ঘটনা ঘটে নি। এইদল প্রথম রাউন্ডের ম্যাচেও এরকম পরিবেশ সৃষ্টি করার প্রচেষ্টা করলেও ব্যার্থ হয়। কিন্তু এই দলের ১২ নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় সুলতান আহমদ ও ৬নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় আজ উত্তেজনা সৃষ্টি করেন।

তাদের মধ্যে প্রতিভাবান খেলোয়াড় রয়েছেন যারা এলাকার গৌরব। তারা আজ নিজের এলাকার খেলোয়াড় নিয়েই মাঠে নামে এবং বিপরীত দল মিজোরামের কয়েকজন খেলোয়াড় নিয়ে আসে। তাদের হার সহ্য করা প্রয়োজন ছিল। তারা দ্বিতীয়ার্ধে ভালোই খেলছিল বলে দাবি করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, রেফারি সালেহ আক্রম খুব সুন্দরভাবেই খেলা পরিচালনা করে যাচ্ছেন এতে দর্শকরাও খুশি। কিন্তু আজকের এই অঘটন কোনোভাবে অস্বাভাবিক বলে জানান তিনি। আয়োজল সংস্থা রেফারি সালেহ আক্রমের পাশেই রয়েছে বলেও জানান জিষ্ণু। এদিনের এই ঘটনার পর আর্জানপুর এসপিএন ক্লাব ম্যাচের শেষ ২০ মিনিট না খেলে বিদায় নিলে বিপক্ষ দল আরডিএক্স আক্তার জেহেন এফসিকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। ম্যাচ শেষে বিজয়ী দলের আর. লালমিংমাওইয়াকে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ ট্রফি তুলে দেন ক্লাব সভাপতি জিষ্ণু ভট্টাচার্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Skip to content